পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছেন জামাতা মো. বাদল খান (৪৫)।গত সোমবার রাত ১১টায় ধাওয়া ইউনিয়নের ধাওয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)। তবে কি কারণে হত্যার ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, মো. ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে ৩টি বিয়ে করেছিল। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকেই বাদলের স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বসবাস করত। গতকাল রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় তার বাবা তার মা ও নানীকে হত্যা করেছেন। এ খবর বলে ছেলেও আত্মগোপনে চলে যান। এর পর থেকে ইয়াছিনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি।
পরে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগম ঘরের মধ্যে গিয়ে দুইজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল। তখন তারা পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ কে খবর দেন। তবে কি কারণে এই হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাদলের ছেলে ইয়াসিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে পাওয়া গেলে হয়ত হত্যার আসল তথ্য পাওয়া যেত।
এদিকে, খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগরে (সিআইডি) একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনোয়ার জানায় পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা যাচ্ছে। বাদল ২০দিন আগে চতুর্থ বিবাহ করেন। এখানে অন্য কোন কারণ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।